‘যে সময়ে আমরা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য সরবরাহ কমাতে বাধ্য হচ্ছি, ঠিক সেই সময়ে জাপানের এই অনুদানের চেয়ে সময়োপযোগী আর কিছু হতে পারে না।’
কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয়দের খাদ্য সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে (ডব্লিউএফপি) ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান দিয়েছে জাপান।
ঢাকায় জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি এক চুক্তি সই করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইডব্লিউএএমএ কিমিনোরি এবং ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি।
এ বিষয়ে ডম স্কাল্পেলি বলেন, ‘যে সময়ে আমরা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য সরবরাহ কমাতে বাধ্য হচ্ছি, ঠিক সেই সময়ে জাপানের এই অনুদানের চেয়ে সময়োপযোগী আর কিছু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি অন্যান্য দাতারাও এগিয়ে আসবেন এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে সহায়তা করবেন। পরিপূর্ণভাবে রেশন দিতে আমরা ৪৮ মিলিয়ন ডলারের আবেদন করছি। সহায়তা ১২ ডলারের কম হলে তা শুধু নারী ও শিশুদের পুষ্টির ওপরই নয়, ক্যাম্পে থাকা প্রত্যেকের নিরাপত্তার ওপরও মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে।’
রাষ্ট্রদূত আইডব্লিউএএমএ কিমিনোরি আশা প্রকাশ করেন যে জাপান সরকারের এই সহায়তা রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জীবনযাত্রার উন্নয়নে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘গত মার্চে ১ মিলিয়ন ডলারের জরুরি খাদ্য সহায়তার পর ডাব্লিউএফপির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আশা করি এই অনুদান গুরুতর খাদ্য সংকট দূর করতে, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং ক্যাম্পে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনসহ একটি টেকসই বন্দোবস্তের লক্ষ্যে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে এবং শরণার্থী ও স্থানীয়দের জন্য উন্নত জীবনযাপনের পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে ডব্লিউএফপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার শুরু থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিচল সমর্থক জাপান। এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে ডব্লিউএফপি ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশে কাজ করা এনজিওগুলোতে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে জাপান।
পাঠকের মতামত